এ যেনো হুড়োহুড়ি করে-জোর করে কিছু আদায়ের প্রতিযোগিতায় সবাই।
হঠাৎ দেখে বোঝার উপায় নেই, এটি কোভিডের টিকাদান কেন্দ্র। স্কুলের শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রমের এমন হাল রাজশাহীসহ অনেক জেলাতেই। বিশৃংঙ্খলার মধ্যে দিয়ে চলছে রাজশাহীতে শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে বয়ে আনতে পারে বিপরীত ফল।
খেলার মাঠের বিজয়ের পর উল্লাস বা ত্রাণের জন্য হুড়োহুড়ি নয়। এই দৃশ্য স্কুলের শিক্ষার্থীদের কোভিডের টিকা নেয়ার। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনের দৃশ্য প্রতিদিন এমনই। যে যেভাবে পারছে, টিকা কেন্দ্রে ঢুকছে। ছাত্রীরা পড়েছে আরও বিপাকে। এমন অব্যবস্থাপনায় ক্ষুব্ধ টিকা নিতে আসা শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা।
গত ৮ জানুয়ারি স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। সংকটে মাঝে টিকা কার্যক্রম বন্ধ ছিল। পরে আবারও শুরু হয়। রুটিন না মেনে একসঙ্গে সব শিক্ষার্থী চলে আসায় বিশৃংঙ্খলা হয়েছে-দাবি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার।
জনস্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গাদাগাদি করে টিকা কার্যক্রম বিপরীত ফল বয়ে আনতে পারে। সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে কেন্দ্র বাড়াতে হবে। জনসমাগম রোধে সম্পৃক্ত করতে হবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের।
সিভিল সার্জন অফিস জানিয়েছে, রাজশাহীতে ২ লাখ ৬৬ হাজারের কিছু বেশি শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।